হাওজা নিউজ এজেন্সি: মুহাররম ও আশুরার বার্তা উপলক্ষে ইরানের হাওযা ইলমিয়ার পরিচালক আয়াতুল্লাহ আলিরেজা আ’রাফি এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তায় বলেন, বর্তমান সময়ে যখন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুরা সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও মিডিয়া অঙ্গনে সমন্বিত হামলা চালাচ্ছে, তখন আশুরার শিক্ষা ও “জিহাদে তাবিয়িন”-এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, আশুরার লাল সংস্কৃতি এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বিপ্লব ইতিহাসজুড়ে সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক, যা মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত করার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং নৈতিক ও ঈমানি অবস্থান পুনঃনির্ধারণের এক চিরন্তন উৎস। মুহাররম কেবল শোক বা স্মৃতির মাস নয়, বরং এটি সত্য উদঘাটনের ও জুলুমের মুখোশ খুলে দেওয়ার এক কার্যকর মঞ্চ।
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী (মা.)-এর বার্তা উদ্ধৃত করে বলেন, “জিহাদে তাবিয়িন” আজকের যুগে সামাজিক প্রতিরোধ, মনোবল জাগরণ ও মিডিয়া-সন্ত্রাস মোকাবিলার এক কৌশলগত হাতিয়ার। বিশেষত মুহাররম মাস এই প্রচেষ্টার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তিনি বলেন, অনেক প্রতিভাবান হাওযা ছাত্র ও মুবাল্লিগরা নতুন পদ্ধতিতে দাওয়াতি কাজ করে শত্রুর সংকর যুদ্ধ (combination warfare) মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন। তারা উপলব্ধি করেছেন যে প্রকৃত ধর্মীয় অন্তর্দর্শনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো—“জাতিকে সতর্ক করা” (انذار قوم)। এই উপলব্ধিই তাঁদের প্রচার ও দাওয়াত কার্যক্রমকে সার্থকতা দিচ্ছে।
বক্তব্যে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি “بلاغ مبین” মিডিয়া কমান্ড সেন্টার, হাওযার দাওয়াত ও সাংস্কৃতিক বিভাগ, এবং মেধাবী ছাত্র বিভাগের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতেও এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং “তাবলীগ” তথা ইসলামী বার্তা পৌঁছানো হাওযার প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
আপনার কমেন্ট